২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১২ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ,ঘোড়াঘাট, দিনাজপুরঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ১ নং বুলাকীপুর উিনয়নের বলগাড়ী হাটে ২টি বাড়ী ও একই ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের একটি বাড়ী এখন মাদকের ¯^র্গূ রাজ্যে পরিণত হয়েছে।
প্রত্যক্ষ্য দর্শী সুত্রে জানা গেছে, বলগাড়ী হাটে পুর্ব পাশের্^ মৃত, সরফ উদ্দিনের পুত্র দিলবরের বাড়িতে দিলবর ও বলগাড়ী হােেটর বড় মসজিদের পাশের্^ সাইকেল মেকার আঃ রহিমের বাড়িতে সাইকেল মেকার কাজের ্অন্তরালে বাড়িতে আঃ রহিম ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগম তাদের বাড়িতে জমজমাট ভাবে মাদক ব্যবসা চলছে। এ ছাড়াও বুলাকীপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী আঃ রাজাক বাড়িতে ও বলগাড়ী হাটে ফেরি কওে নেশা জাতীয় মাদক দ্রব্য বিক্রি করছে।
শুধু বলগাড়ী হাটই নয় মাদক কারবারিরা ঘোড়াঘাট উপজেলার ত্রিমোহনী ঘাট, আজাদমোড়, চারমাথা মোড়, কামদিয়া মোড়, কালিতলা, এসকে বাজার, শহীদমিনার, থানামোড়, খেতাবমোড়, লালবাগ, ঘোড়াঘাট ফরেস্ট এলাকা।
ওসমানপুর মিশন, কুচেরপাড়া, কামারপাড়া, কশিগাড়ী, দ¶িণ দেবীপুর জোব্বার চেয়ারম্যানের পাড়া, সাউদগাড়ী,বিন্নাগাড়ী মোড়,গোস্ত হাটি মোড়,রাণীগঞ্জ পাচঁ মাথা, রাণীগঞ্জ পরিত্যাক্ত উপ-¯^াস্থ্য কেন্দ্র, বিন্যাগাড়ী, রানীগঞ্জ সিনেমা হল, রানীগঞ্জ আ’লীগ অফিস সংলগ্ন এলাকায়, চাউলিয়া পট্টি, গোশত হাটি মোড়,গোডাউন এলাকা,নুরপুর হাফিজারের চাতালের পিছনে বাগানে,নতুন সোনালী ব্যাংকের পিছনে, নুরপুর, সিংড়া হাফিজুরের বাড়ী,
কলাবাড়ি মাদরাসার পিছনে হুরির বাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা বীরদর্পে শেল্টার ও এক শ্রেণীর প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা । শুধু ঘোড়াঘাট উপজেলার রাণীগঞ্জই নয়, উপজেলার বলাহার,ডুগডুগীহাট,হরিপাড়াহাট ও বুলাকীপুর ইউনিয়নের শৌলিয়া, কানাগাড়ী, বলগাড়ীবাজার মাদক বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন বাড়ীতে ্অলিতে গলিতে। মাদক বিক্রেতারা এখন কৌশল পাল্টিয়েছে। তারা গ্রাম-গঞ্জে,পাড়া মহল্লায়,অলিতে গলিতে ফেরি করে মাদক বিক্রি করছে।দেখার কেউ নেই।
প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় দেদার বিক্রি করছে গাঁজা, হিরোইন ও ইয়াবা ট্যাবলেট। মাদক ব্যাবসার পাশাপাশি ওই ৩ বাড়িতে চালানো হচ্ছে ্অসামাজিক কার্যকলাপ। সকাল সন্ধ্যা চলে মাদক বিক্রি। বয়স্কদের পাশাপাশি সেখানে ভিড় করছে শিক্ষার্থী ও উঠতি বয়সের যুবকরা।এ ছাড়াও তারা বলগাড়ী হাটে ফেরি করেও মাদক বিক্রি করছে ওই ৩ ব্যক্তি।
মাদক ব্যবসায়ীরা বীরদর্পে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। মাদক বিক্রেতারা এখন কৌশল পাল্টিয়েছে। তারা গ্রাম-গঞ্জে,পাড়া মহল্লায়,অলিতে গলিতে ফেরি করে মাদক বিক্রি করছে।দেখার কেউ নেই।
যুব সমাজও বেশী আসক্ত হয়ে পড়েছে এর প্রতি। দীর্ঘদিন ধরে এলকায় মাদকসেবীরা নেশা হিসাবে হিরোইন, গাঁজা, মদ, তাড়ি,স্পিরিট সেবন করে আসছে। ১০-৩০ বছর বয়সী মাদকসেবীরা নেশা করে থাকে। কিশোর শি¶ার্থীরা মাদক সেবনের মূল ভূমিকায় রয়েছে।
নতুন নতুন মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে পড়ছে যুব সমাজ। বিশেষ করে ফেনসিডিল ও ইয়াবা সহজলভ্য ও বহনযোগ্য বলে এর বিস্তার উপজেলাজুড়ে।
কিশোর শিক্ষার্থীরা ফার্মেসী থেকে বিভিন্ন প্রকার ঘুমের ঔষুধ, ভিটামিন সিরাপ, সিনামিন দিয়ে তৈরী করে এক প্রকার ঝাকি নামক নেশা তৈরী করে সেবন করছে।
এখন হাইস্কুল থেকে শুরু করে কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের শি¶ার্থীরা নেশায় টইটুম্বুর। অনেকে অভিভাবক তাদের মেধাবী ছেলে-মেয়েদের নেশা গ্রস্থ হওয়ার কথা জানেন না। নেশার তালিকায় মূল ভূমিকায় রয়েছে স্কুল কলেজের শি¶ার্থীরা, পুলিশের সদস্য, ডাক্তার, সাংবাদিক, আইনজিবী সহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবি নামও রয়েছে।
এমনকি এ তালিকায় রয়েছে ¯^ামী পরিত্যক্তা, বিধবা নারী। মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলো থেকে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। তবে স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েদের ইয়াবা এখন হটকেক। অনেকে কৌতুহলের বশবর্তী হয়ে এটি সেবন করছে।
ইয়াবা ট্যাবলেট আসে পাশর্^বর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে। মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবা ট্যাবলেট রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বিাভন্ন স্থানে পৌছে দেয়। অধিক পরিচিত হলেও দিনাজপুরের নেশার জগতে এটি এখন হট কেক এবং নতুন আইটেম। হিরোইনও সেবন করছে তারা।
ফেন্সিডিল আসে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে। হিলি,বিরামপুর ও ফুলবাড়ীর সীমান্ত পথ দিয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলাসহ দিনাজপুরের দ¶িণাঞ্চলে প্রবেশ করছে। এ কারণে ঘোড়াঘাট উপজেলার অলিতে গলিতে ফেন্সিডিলের ছড়াছড়ি।
প্রায় প্রতিমাস হাজার হাজার ট্যাবলেট নেশাখোরদের নেশার খোরাক জোগাচ্ছে মাদক কারবারিরা। সিন্ডিকেট পৃষ্ঠপোষক আমদানিকারকরা মাসে কোটি টাকার বাণিজ্য করছে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কতিপয় সদস্যরা এ সেক্টর থেকে প্রতিমাসে আদায় করছে ল¶ ল¶ টাকা।
প্রভাবশালী এবং কথিত রাজনীতিবিদদের ড্রইং রুমেও ওই ভাগের টাকা পৌঁছে যেত বলেও অভিযোগ রয়েছে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাছে মাদক সম্রাটদের তালিকা রয়েছে। তারা বীরদর্পে এ ব্যবসা চালিয়ে রাতারাতি কোটি টাকার মালিক সেজে গেছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত কারণে কোন ব্যবস্থাই নিতে পারছেন না মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও আইন প্রয়োগ কারী সংস্থার কর্মকর্তারা।
বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বিভিন্ন সভা সমাবেশ মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখলেও মূলত তা কোন কাজে আসছে না। যদিও দিনাজপুর পুলিশ ও স্থানীয় থানার পুলিশ ভাম্যমাণ আদালত প্রায় প্রতিদিন অভিযান চালিয়ে মাদক দ্রব্য ও মাদক সেবীদের আটক ও নেশা দ্রব্য উদ্ধার করছে।
এতেও সফলতা দেখাতে পারেননি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও আইন প্রয়োগ কারী সংস্থার পুলিশ বাহিনী। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য র্যাব, বিজিপি দফায় দফায় বড় ধরনের চালান আটক করলেও থেমে নেই মাদক ব্যবসায়ীদের তৎপরতা। কিন্তু কেন এ প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছে না দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মানুষ।
এ সব নেশা জাতীয় মাদক দ্রব্য অনাগ্রা ও ইয়াবা প্রথমে মায়ানমার থেকে রাজধানী ঢাকায় আনা হয়। পরবর্তীতে এ সব নেশা জাতীয় মাদক,মাদক সম্রাটরা উত্তরাঞ্চলের জেলা উপজেলায় পৌছে দেয়।